আমাদেরবাংলাদেশ ডেস্ক।। করোনা কেড়ে নিলো ১ লাখ ৪৭ হাজার প্রাণ ঠিক সেই সময়ে করোনার প্রাদুর্ভাব দূরীকরণের জন্য সব ধরনের সামাজিক কার্যক্রম বন্ধের পাশাপাশি অবাধে বেড়ানো নিঠিক সেই মুহুর্তে ঠিক সেই মুহুর্তে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সর্ম্পকে সচেতন হয়ে নিরাপদে ঘরে অবস্থান করতে চুয়াডাঙ্গা জেলা বাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদ হাসান বিপিএম বার পিপিএম।
(১৭এপ্রিল শুক্রবার) বিকালে জরুরী এক বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সুপার,জাহিদ হাসান বিপিএম বার পিপিএম বলেন জনগণ যত বেশি সচেতন হবে, তত বেশি করোনা প্রতিরোধ সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি। একই সঙ্গে ঘরে অবস্থানকালীন সময়ে নাগরিকরা তাদের যেকোন সমস্যায় পুলিশকে ডাকলে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন।
পুলিশ সুপার জাহিদ হাসান জানান, বিশ্ব ব্যাপী করোনা মহামারী আকার ধারণ করেছে। ‘করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৩১ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ কাজ করছে। ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ মহোদয়ের দিক-নির্দেশনা এবং গতিশীল নেতৃত্বে আমরা ইতোমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
সামাজিক দূরত্ব” বজায় রাখা, অপ্রয়োজনীয় যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ, আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখা, ইতোমধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তির সান্নিধ্যে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা, আক্রান্ত ব্যক্তির আশেপাশের বাড়িঘর স্থানীয়ভাবে লকডাউন করা ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে’। পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা মহোদয় আরো বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জেলা/উপজেলা পর্যায়ে অপ্রয়োজনীয় যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বলে জানান। মহাসড়কে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, ওষুধ সরবরাহ সহ অন্যান্য জরুরি সেবা/পরিবহন সচল রাখা হয়েছে। সড়ক ও মহাসড়কে চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। প্রতিটি জেলা/উপজেলার প্রবেশ দ্বারে পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে যাতে অন্য এলাকার লোক অনুপ্রবেশ করতে না পারে। ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়েও স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে ইউনিয়ন থেকে ইউনিয়ন এবং গ্রাম থেকে গ্রামে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
মাইকিং করে লিফলেট বিতরন করে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে এবং ক্ষেত্র বিশেষে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এটা নিশ্চিত করা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে আরো বিষয় নিয়ে ভাবা হবে বলেও জানান তিনি।
নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি করোনা ভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ কর্তৃক এ পর্যন্ত হতদরিদ্র, কর্মহীন, গরীব, অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী (চাল, ডাল,তেল, আটা, লবণ, সাবান পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যক্তিদের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী (মাস্ক, হ্যান্ড ওয়াশ/হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান বিতরণ করা হয়েছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
প্রান্তিক পর্যায়ে মানুষকে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা, এটি কিভাবে সংক্রমিত হয় এবং সংক্রমিত ব্যক্তির করুণ পরিণতির বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে। এ কাজে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে এর বিরুদ্বে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলাসমূহের বিভিন্ন পর্যায়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে যাতে নিজে সতর্ক হওয়া ও অন্যকে সচেতন করা যায়।
পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সবাইকে সচেতন করছে। ব্যক্তি সচেতনতাই পারে কোভিড-১৯ এর সংক্রমন ঠেকাতে। কাজেই “নিজে সচেতন হই এবং অন্যদেরকে সচেতন করি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি এর মাধ্যমে নিরাপদ থাকি এবং দেশকে করোনা ভাইরাস মুক্ত করি-এ হোক আমাদের আজকের প্রত্যয়।